নিজস্ব প্রতিবেদক :

টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর গ্রামে প্রশাসনের অনুমতিহীন বিদেশী নাগরিকদের বৈঠক পন্ড করে দিল প্রশাসন।

সূত্রে জানা যায় , ৭ জানুয়ারি বাহারছড়া শামলাপুর গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে ছৈয়দ করিমের বাড়িতে প্রশাসনের অনুমতিবিহীন এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় ।  উক্ত বৈঠকের খবর পেয়ে শামলাপুর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছৈয়দ করিমের বাড়িতে গিয়ে বিদেশী লোকের সাথে উক্ত বৈঠকের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বিদেশী চারজন লোকের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকদের জানান , আমরা মূলত সমাজের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি, তাই প্রথমে আমরা বাহারছড়া এসে ছৈয়দ করিমের বাড়িতে বৈঠকে বসে স্থানীয় কয়েকজন পূরুষ ও মহিলার সাথে মতামত করতে  চেয়েছিলাম ।  তার এমন উত্তরে উপস্থিত সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজন তাদের সংগঠনের নাম কি জানতে চান। তখন নিউজিল্যান্ডের এক নাগরিক উত্তর দেন , তারা এখনো তাদের সংগঠনের নাম দেয়নি, প্রাথমিক ভাবে তারা তাদের কার্যক্রমকে কমিউনিটি উন্নয়ন হিসেবে নাম দিয়েছেন।

ছৈয়দ করিমের বাড়িতে আসা চার বিদেশি নাগরিকের মধ্যে একজন নিউজিল্যান্ডের ও তিনজন আমেরিকার বলে জানা যায়। পরে তাদের পাসপোর্ট চেক করে জানা যায় তারা শুধু মাত্র ভ্রমনের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।  তাদের কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কোনো অনুমতি আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে বিদেশী নাগরিকদের পক্ষে উক্ত বৈঠকের সমন্বয়ক আবদুল মান্নান জানান আসলে আমরা এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেইনি।

পরে তাদের সর্তক করে শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সেনা কর্মকর্তারা বলেন এখানে সামাজিক উন্নয়নে কিছু করতে চাইলে প্রথমে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি লাগে, আপনারা এখানে কিছু করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শামলাপুর ফুটবল খেলার মাঠে সেনা ক্যাম্পের পাশে ক্যাম্প করে করতে পারেন, তখন আমরা আপনাদের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দেব বলে প্রশাসনের অনুমতিহীন এই ভূয়া এনজিওর গোপন বৈঠক বন্ধ করে দেন। পরে বিদেশী নাগরিকসহ তাদের সাথে আসা দেশীয় অন্যান্য লোকেরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এদিকে দেশের একটি শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের বিদেশী নাগরিকরা গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে।